ভারত পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার পর মিয়ানমার থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পিয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন। বুধবার ১৬ জন ব্যবসায়ীর কাছে ২৭টি ট্রলারে করে ১ হাজার ৩৯৫ মেট্রিকটন পিয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ২২ দফায় মিয়ানমার থেকে নৌপথে ১৯ হাজার ৮৯২ টন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার আফসার উদ্দিন। তিনি বলেন, ভারত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে প্রথম চালানে ৬৫০ মেট্রিক টন পিয়াজ আসে। এরপর থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৪১ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এসব পিয়াজ খালাস করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা পিয়াজ আমদানির দিকে ঝুঁকছেন। যার ফলে অন্যান্য পণ্য আমদানি কম হচ্ছে। তবে দেশের স্বার্থে সংকট মোকাবিলায় পিয়াজ আমদানি বাড়াতে আরও বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে পিয়াজসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে আসা ২৭টি ট্রলার থেকে পিয়াজ খালাস করে শ্রমিকেরা ট্রাকে বোঝাই করছেন।ট্রাকভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করার জন্য প্রস্ততি নেওয়া হলেও পিয়াজ বোঝাই ট্রাকে বন্দর এলাকায় ভিড় দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ শর্তে স্থলবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, ‘গত কয়েকদিনে প্রায় ৫শ’ মেট্রিক টন পিয়াজ এসেছে। এগুলোর সবই বড়। এরপর যেসব পিয়াজ আসবে, সেগুলোর আকৃতিও এমন হবে।’
কয়েকজন শ্রমিক বলেন, আগের তুলনায় মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আসা অনেক কমে গেছে। অধিকাংশ আমদানিকারকেরা বন্দরে আসছে না। তাদের মধ্যে একধরনের ভয়-ভীতি কাজ করছে। এর ফলে পিয়াজ আমদানি কমেছে। টেকনাফ স্থলবন্দরে ছোট-বড় পিয়াজ বিক্রয় হয়েছে ১২০-১৬০ টাকায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে পিয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কয়েকজন আমদানিকারক জানান, দেশের সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত পিয়াজ স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, স্থলবন্দরের পিয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য থাকলেও আগে পিয়াজের ট্রলার খালাস করা হচ্ছে। বুধবার রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ১০৭টি পিয়াজ ভর্তি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে স্থলবন্দর ছেড়ে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম