ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার আগেভাগে আমন সংগ্রহের ঘোষণা দিলেও তালিকার কারণে কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। ধান ক্রয়ে ২০ নভেম্বর উদ্বোধন হলেও কৃষকের তালিকা প্রস্তুত না হওয়ায় সরকারের কাছে কৃষক ধান বিক্রি করতে পারেনি। এদিকে সরকারের ডিজিটাল ব্যবস্থা ‘কৃষক অ্যাপ’ সম্পর্কে কিছুই জানেন না কৃষক। এতে বাজারে লোকসানে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের।
নির্ধারিত সময়ে তালিকা করতে ব্যর্থ হওয়ায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই তাদের হাটে বাজারে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে ধান এমনটাই বলছেন কৃষকরা। তবে সরকারি ক্রয় শুরু হলে বাজারে ধানের দাম বাড়বে বলে করছেন কৃষক।
এদিকে, কৃষি বিভাগ যথাসময়ে কৃষকদের তালিকা প্রনয়ন করলেও উপজেলা পর্যায়ে লটারির মাধ্যমে তালিকা সম্পন্ন হয়নি। খাদ্য বিভাগ বলছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করা যাবে।
কৃষকরা বলছেন, সরকার ঘোষণা দিয়েছে ধান ২৬ টাকা কেজি কিন্তু ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৫টাকা কেজি। এতে ধান বিক্রিতে লোকসান হচ্ছে। এখনো ধান ক্রয় শুরু হয়নি আবার ডিজিটাল ব্যবস্থা ‘কৃষক অ্যাপ’ সম্পর্কে কিছুই জানেন না তারা।
কৃষক সমিতির দিনাজপুর সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল জানান, ধানের বাজারের এ অবস্থায় প্রশাসনের নজরদারিসহ ধানের ন্যায্যমূল্য যেন কৃষক পায় তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান। সরকার যেন অবাধ এবং নিরপেক্ষভাবে লটারি করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করেন।
দিনাজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল বলেন, কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রায় ২ লাখ কৃষকের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিয়েছি।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশরাফুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, কৃষকদের তালিকা পেয়েছি কিন্তু লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকের তালিকা তৈরি চলমান। কৃষি বিভাগের দেয়া প্রায় ২ লাখ কৃষকের তালিকা লটারির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে চূড়ান্ত করছে খাদ্য বিভাগ। কৃষকদের চূড়ান্ত তালিকা আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত সম্পন্ন হবে। এবার দিনাজপুরে কৃষক পর্যায়ে দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় ২৮ হাজার ৭ টন ধান ক্রয়ের কথা রয়েছে সরকারের।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা