বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কারেন্ট পোকার (বাদামি গাছ ফড়িং) আক্রমনে শত শত বিঘা জমির আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। বাড়িতে এক ছটাক ধান নিতে পারবেন না কয়েক হাজার কৃষক। প্রায় শতভাগ ধান চিটা হয়ে গেছে। এ ধানের খড়ও কোন কাজে আসবে না। গরু, মহিষেও খাবে না। জীবাণুমুক্ত করতে পুড়িয়ে ফেলতে হবে কারেন্ট পোকায় আক্রান্ত ক্ষেতের সকল ধান গাছ। এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, ক্ষতির পরিমাণ সামান্য। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে, কৃষি অফিস সম্ভাব্য ক্ষতির কোন তথ্য দিতে পারেনি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে যান না। বাড়িতে বসেই সারেন সকল তদারকি।
মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়ে থাকে। প্রায় ৫২ হাজার কৃষক আমন ধান চাষ করেন। ভাষান্দল গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম ও আব্দুল মালেক তালুকদার বলেন, ধান কেটে মাঠেই রেখে যেতে হবে। খড়-কুটাও কোন কাজে লাগবে না। জীবাণুমুক্ত করতে মাঠেই আগুন দিয়ে পোড়াতে হবে।
এ বিষয়ে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু, বহরবুনিয়ার চেয়ারম্যান রিপন তালুকদার ও বণগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিপন দাস বলেন, মাঠ থেকে কৃষকরা ধান নিয়ে বাড়িতে যেতে পারবে না। কারেন্ট পোকার আক্রমণে সব চিটা হয়ে গেছে। চেয়ারম্যানের দেওয়া তথ্য মতে ১০ থেকে ১২ হাজার কৃষক এবার খালি হাতে বাড়ি ফিরবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভিন বলেন, কিছু এলাকায় পোকার আক্রমণ হয়েছে। সে বিষয়ে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোন কোন এলাকার কৃষক মাছ বাঁচাতে ক্ষেতে কিটনাশক ব্যবহারে রাজি হয়নি বলেও অভিযোগ করেন এই কর্মকর্তা। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বা কত সংখ্যক কৃষক এ ঘটনায় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সে বিষয়েও এ কর্মকর্তা কোন তথ্য দিতে পরেননি।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব