বাসায় টিউবওয়েলের পানি পান করে একই পরিবারের ৪ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সুযোগে রাতে দুর্বৃত্তরা ওই বাসায় তালা ও ভারী হ্যাজবল ভেঙে দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ দুই লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ।
তবে এ ঘটনার নেপথ্যে জেলার অজ্ঞান পার্টির হাত রয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। পর পর এ ধরনের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত জেলার সাধারণ মানুষ।
রবিবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর গ্রামে টিউবওয়েলের পানি পান করে ওই বাসার প্রত্যেকে অচেতন হতে থাকলে বিকেলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্বজনরা জানান, রফিকুল, মাহবুবা, লাকি আক্তার ও ফারাজ আলী একই বাড়িতে বসবাস করেন। প্রতিদিনের মতো সকালে তারা টিউবওয়েলের খাবার পানি পান করে। এর পর থেকে তারা অসুস্থতা বোধ করতে থাকে এবং সময় বাড়ার সাথে সাথে তাদের মাথা ব্যথা ও পরে বমি হয়। এরপর একে একে অজ্ঞান হয়ে যায়। অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে আশপাশের প্রতিবেশীরা এসে বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়। তারপরও অচেতন অবস্থায় বিকেলের দিকে তাদের সবাইকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের জ্ঞান ফিরলেও স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছে না কেউই।
কিভাবে এমন হলো তা জানতে চাইলে তারা বলছেন টিউবওয়েলের পানি থেকে হতে পারে এমনটা। তবে রোগীর স্বজনরা জানান, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর রবিবার রাতে দুর্বৃত্তরা ওই বাসায় সুযোগ পেয়ে তালা ও ভারী হ্যাজবল ভেঙ্গে দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ দুই লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।
সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, এ ধরনের ঘটনা এর আগেও রুহয়া, পীরগঞ্জ, রানিশংকৈলসহ সদরের সরকারপাড়া, গোয়ালপাড়াও ও বরুনাগাঁয়েও ঘটেছে। প্রশাসন এ অজ্ঞান পার্টির সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারলে এ ধরনের ঘটনা অনেকটা কমে যেতো।
এ বিষয়ে আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. লিটন সরকার জানান, যারা ভর্তি হয়েছে তারা পানিতে চেতনানাশক মেশানোর ফলেই অসুস্থ হয়েছেন। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, এ ধরনের দুর্বৃত্তরা বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় একই কায়দায় অর্থ ও সোনা লুট করছে। আমরা তাদের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছি এবং তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পারবো বলে ধারনা করছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল