ডোমারের মাহিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী তৃষ্ণা রানী রায়ের আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।
সোমবার দুপুরে নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন জেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম।
এরআগে ডোমার-চিলাহাটি সড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন তৃষ্ণার সহপাঠীসহ অবিভাবকরা। এ সময় তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন শিক্ষা অফিসার।
দুই সদস্যের তদন্ত দলে রয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাকেরিনা বেগম ও জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক মশিউর রহমান।
তৃষ্ণা বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের বাকডোকরা দোলাপাড়া এলাকার দুলাল রায়ের মেয়ে। মাহিগঞ্জ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল তার।
ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রবিবার বিদ্যালয়ে বিদায়ী অনুষ্ঠান শেষে প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে বিচলিত হয়ে পড়ে সে। মানবিক বিভাগের ছাত্রী হয়ে বাণিজ্য বিভাগের প্রবেশপত্র পাওয়ায় নিজ বাড়িতে ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। পরিবার থেকে অভিযোগ না করলেও আত্মহত্যা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল