বেনাপোল বন্দরে পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাকের চালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভারতেও এই ভাইরাস আক্রান্তের খবরের পর থেকে তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এই ভাইরাস আসার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
রবিবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকায় গিয়ে এ খবরের সত্যত্যা পাওয়া গেছে।
অপর দিকে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হতে চললেও মেরামত করা হয়নি বেনাপোল চেকপোস্টে স্থাপিত সোয়াইন ফ্লু নির্ণয় করার থার্মাল স্ক্যানারটি। স্ক্যানার মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। স্থাপন করা হয়নি করোনাভাইরাস রোগী সনাক্ত করণের জন্য পোর্টেবল লেজার ডিটেক্টর, ইনফারেন্স থার্মোমিটার ও ইলেকট্রনিক্স অণুবীক্ষণ যন্ত্র।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন সূত্রে জানাগেছে, প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ হাজার যাত্রী ভারত- বাংলাদেশ যাতায়াত করেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দুইটি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে সার্বক্ষণিক।
এছাড়া সচেতনতামূলক পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। বেনাপোল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বিচিত্র মল্লিক জানান, সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চেকপোস্টে মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। যাত্রী প্রবেশের সময়সীমা পর্যন্ত মেডিকেল টিম কাজ করে। এই স্থলবন্দর দিয়ে বিশেষ করে চীন থেকে পাসপোর্ট যাত্রীদের আসার সম্ভাবনা থাকায় তাদের চেকআপ করা হয়। ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও সহকারীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ভারতীয় ট্রাক চালকদের বাংলাদেশে প্রবেশের আগে যাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় তার জন্য দ্রুত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন