বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাহিনীই পারে মাদক নির্মুল করতে। সীমান্তে বিজিবি কঠোর হলেই কুমিল্লা দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে মাদক প্রবেশ সিংহ ভাগই হ্রাস পাবে। আর তারপরেও কাঁটাতারের ফাঁকফোকর দিয়ে মাদক প্রবেশ করে তাহলে তা প্রতিরোধ করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটগুলো সচেষ্ট হবে।
রবিবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর সভাপতির বক্তব্য এ কথাগুলো বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন আগে ভারতের ত্রিপুরায় জেলা প্রশাসক-জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনে অংশগ্রহণ করি। বাংলাদেশ-ভারতের ওই যৌথ সম্মেলনে ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশের বিষয়টি গুরত্ব সহকারে উপস্থাপন করেছি। ভারতের প্রতিনিধিরা স্বীকার করেছেন ভারতের তৈরি মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে কোন মাদক প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ভারত সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।
সভায় পুলিশ সুপার মো: সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ভারতের যৌথ সভায় আমরা পরিসংখ্যান দেখিয়েছি যে কিভাবে বাংলাদেশে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিল প্রবেশ করে। তবে ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা খুব আন্তরিকতার সাথে বিষয়টি দেখবে বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। তবে আমরা মনে করি বিজিবির আন্তরিকতা থাকলে এদেশে ৯০ ভাগ মাদক প্রবেশ সীমান্তেই রুখে দেয়া যাবে।
সভায় বড় একটি জেলায় বিএসটিআইয়ের কম অভিযান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক। বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি ফিল্ড অফিসার জিয়াউল হক জানান, লোকবল সমস্যার কারণে অভিযান পরিচালনা করতে পারছেন না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যেন লেখাপড়ায় সমস্যা না হয় সে দিক বিবেচনা করে পাবলিক পরীক্ষার সময় ওয়াজ মাহফিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জামির হাসানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ওমর ফারুক, সিভিল সার্জন ডা. মো: নিয়াতুজ্জামান, সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহম্মেদ, সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাফরুল হায়দার, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো: আবু আশরাফ সিদ্দিকী প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন