রাঙামাটির কর্ণফুলী নদীতে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে এখনও দুইজনের খোঁজ মেলেনি। তারা হলেন- চট্টগ্রামের মিরশ্বরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের টুম্পা মজুমদার (৩০) ও তার শিশু পুত্র বিজয় মজুমদার (৫)। শনিবার সকালে আবারও তাদের খুঁজতে কর্ণফুলীতে অভিযান চালায় কাপ্তাই শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাট নৌ বাহিনীর ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। দিনব্যাপী চলে উদ্ধার অভিযান। কিন্তু সারাদিনেও তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উদ্ধার অভিযান দ্বিতীয় দিনের মত সমাপ্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই থানার তদন্ত কর্মকর্তা শফিউল আজাদ জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলায় শীলছড়ি কয়লার ঘাট এলাকায় ১৫০ জনের একটি ট্যুরিস্ট বোট অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যায়। এঘটনায় নিহত হন আরও ৩ জন। খবর পেয়ে কাপ্তাই শহীদ মোয়াজ্জম ঘাটের নৌ-বাহিনীর ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাপ্তাই উপজেলা থানার তদন্ত কর্মকর্তা শফিউল আজাদ জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলায় শীলছড়ি কয়লার ঘাট এলাকায় ১৫০ জনের একটি ট্যুরিস্ট বোট অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে শিলছড়ি মন্দিরে যায়। মন্দির ঘুরে ফিরে আসার সময় যাত্রীসহ কয়লার ঘাট এলাকায় ডুবে যায় বোটটি। এসময় কর্ণফুলীর পানির স্রোতে তলিয়ে যায় টুম্পা মজুমদার (৩০) তার শিশু পুত্র বিজয় মজুমদার (৫) ও দেবলীলা (১০)। এসময় খবর পেয়ে কাপ্তাই শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাটের নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল দেবলীলার মরদেহ উদ্ধার করতে পারলেও খোঁজে পায়নি টুম্পা ও বিজয়কে। তাই শনিবারও পুনরায় তারা অভিযান নামে তারা। কিন্তু তবুও তাদের মরদেহ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে কর্ণফুলী নদীর পানির স্রোত বেশি থাকায় হয়তো তারা গভীর পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উদ্ধার অভিযান চলাকালে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি ও কাপ্তাই উপজেলা থানার তদন্ত কর্মকর্তা শফিউল আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের ট্যুরিস্ট চলাচলে বোটগুলোতে লাইভ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানান, রাঙামাটিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামীতে সড়ক ও নৌপথে নিরাপত্তামূলক বিশেষ সর্তকতা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া যারা লাইভ জ্যাকেট ছাড়া রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে ইঞ্জিন চালিত বোর্ট চালাবে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে শুক্রবার রাঙামাটি ডিসি বাংলো এলাকার কাপ্তাই হ্রদে ডুবে মৃত পাঁচ লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে তাদের স্বজনদের কাছে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ২০ হাজার টাকা অনুদানও দেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম