ঝালকাঠির মিরাকাঠিতে মারধর করে অমানসিক নির্যাতনের স্বীকার হওয়া মানসিক প্রতিবন্ধী কলিম সিকদার (৬২) ঢাকা তেজগাও সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। নির্যাতনের শিকার হওয়ার ৭ দিন পর শনিবার ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত কলিম সিকদারের মেয়ে বর্ণালী সিকদার জানান, গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কলিম সিকদার নিজ ঘরে বসে সবাইকে গালাগাল করতে থাকেন এ অপরাধে পাশের ঘরের হিরামন এদবর, কৃষ্ণ এদবর, লক্ষী এদবর, মনিকা সিকদার, শেফালী সিকদারসহ অনেকে কলিম সিকদারকে মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে অমানসিক নির্যাতন করে মারাত্বক আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে এবং ঢাকায় নেওয়া হয়। সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার সকালে হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় তারা লাশ দাফন করে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন বর্ণালী সিকদার। তিনি আরও জানান, এমন বিচার হওয়া উচিত যাতে কোনো প্রতিবন্ধী মানুষকে অমানুষিক নির্যাতন না করে কেউ। আর কোনো মানুষকে অন্যায়ভাবে মরে যেতে না হয়।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত হিরমান এদবর বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিয়েই তাকে শুধু বেধে রেখেছি। কোনো মারধর করিনি। তার পরিবারের সদস্যরা তাদের ফাসানোর জন্য এমন মিথ্যে কথা বলেছে। কলিম সিকদারকে অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ানোর কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। পরিবারের সদস্যরা যদি অভিযোগ করেন তবে জানতে পারি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম