২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৬:৫৭

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে উপার্যনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা ১৭ পরিবার

নোয়াখালী প্রতিনিধি

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে উপার্যনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা ১৭ পরিবার

ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ২০১৯ সালের এই দিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ১৭ জনের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায়। ঘটনার এক বছর পেরিয়ে গেলেও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সরকারিভাবে তেমন কোনো সহায়তা পায়নি। চরম হতাশায় ও অনিশ্চতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় পরিবারগুলোর সদস্যরা। তবে সরকারি নির্দেশনা পেলে সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের। 

এ কান্না একমাত্র অবলম্বন হারানোর। স্বামী হারিয়ে সন্তানকে নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় কান্নার রোল। আড়াই বছর বয়সী সান্তা যখন বাবার কথা জানতে চায় তখন উত্তর খুঁজে দিশেহারা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের নূর নাহার। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে মারা যান নূর নাহারের স্বামী নাছির উদ্দিন। তখন লাশ দাফনের জন্য সরকারিভাবে পরিবারটিকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সরকারি চাকরি বা আর্থিক সহায়তার। এক বছর ফেরিয়ে গেলেও সে আশ্বাসের তেমন কোনো ফল মেলেনি। সংসারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই। শ্বশুরও গত হয়েছে অনেক আগেই। বর্তমানে আর্থিক সংকটে দিশেহারা পরিবারটি। 

ওই দিন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে নিহতদের মধ্যে ১৭ জনের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায়। সেদিন কেউ হারিয়েছে স্বামী, কেউ হারিয়েছেন একমাত্র সন্তান, কেউ হারিয়েছেন একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে। যাদের মাঝে কেউ কেউ রয়েছে একমাত্র উপার্জনক্ষম। প্রিয়জন আর সহায় সম্বল হারিয়ে পরিবারগুলোতে এখন শুধুই হাহাকার। বছর শেষ হলেও পরিবারের সদস্যদের চোখের জল যেন শেষ হয়নি। কেউ খোঁজ নিতে গেলেই ডুকরে কাঁদছেন সন্তানহারা, বাবা-মা, স্বামীহারা, স্ত্রী বা প্রিয়জনহারা স্বজনরা। কবরের পাশে এখনও খুঁজে বেড়ান বুকের ধনকে, একমাত্র অবলম্বনকে। 

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে তেমন সহযোগিতা করা হয়নি। তবে সম্প্রতি নাটেশ্বর ইউনিয়ন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের মতে যা যৎসামান্য। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো যাতে সর্বোচ্চ সহায়তা পায় সে প্রত্যাশা জেলা প্রশাসনেরও। সরকারিভাবে নির্দেশনা পেলে সহায়তার আশ্বাস জেলা প্রশাসক তন্ময় দাসের। অসহায় অবলম্বনহীন এ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াবে সরকার, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা দূর হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর। 

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর