কুমিল্লার লাকসামে হিজড়া গুরু সোলেমান হোসেন চুমকিকে চিকিৎসা না দিয়ে মৃত ঘোষণা ও থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের অভিযোগে তুলে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে হিজড়া সম্প্রদায়।
আজ বৃহস্পতিবার ভোজপাড়ায় ভাড়া বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। এসময় তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনে যাওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হিজড়া গুরু সোলেমান হোসেন চুমকি বলেন, গত সোমবার দুপুরে পারিবারিক সমস্যার কারণে বিষপানে আহত হয়ে লাকসাম সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হই।
জরুরি বিভাগে কমর্রত ডা. শাহীনুর আক্তার ও সহকারী নার্স আবুল খায়ের আমার কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে আমাকে মৃত ঘোষণা করে লাশ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। এ সময় আমার সাথে থাকা লোকজন এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে সহকারী নার্স আবুল খায়ের উত্তেজিত হলে তাদের সাথে বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
পরে আমার সাথে থাকা অন্য হিজড়ারা আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং আমি ওই হাসপাতালে দুই দিন ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আসি।
এদিকে, কে বা কারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও সহকারী নার্স আবুল খায়েরকে মেরে আহত করে। রাতে খবর পাই আমাকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হিজড়া সম্প্রদায়ের সুনাম নষ্ট করতে লাকসাম থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পরদিন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমার বক্তব্য ছাড়া মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত হয়। আমি হিজড়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে থানায় মিথ্যা অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন হারুন হোসেন পায়েল, অন্তর হোসেন আনতর, কাজল হোসেন অনি, বিপ্লব হোসেন বেগমী, তুষার সরকার তিশা, করিম হোসেন সখি, সোহাগ হোসেন সোহাগী, পুজা দেবনাথ পুজা, মাহফুজ ঝরনা, হোসেন হোসনেয়ারা, সেলিম হোসেন সুলতানা, মাসুদ হোসেন শিখা, নুপুর, যুবরাজ, রত্মা আক্তার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আগামী দুইদিনের মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব