দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের খবরের পরপরই গত দুইদিন ধরে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার শূন্য হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম। আচমকা চাহিদা বাড়ায় স্টক খালি হলেও পাইকারী বাজারে অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় খুচরা ব্যবসায়ীরা এসব সামগ্রী বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, গত রবিবার ও সোমবার মাস্ক বিক্রি করলেও মঙ্গলবার কোনো কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও বুধবার সকাল থেকে অনেক দোকানে নেই। এমনকি শহরের কোনো সার্জিক্যাল ডিসপেনসারিতেও মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। ফুটপাতে বা অন্য কোথাও পাওয়া গেলেও ১০ টাকার মাস্ক দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সার্জিক্যাল ব্যবসায়ীরা বলছেন,পাইকারী বাজারে ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মাস্কের একেকটি প্যাকেটের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় তারা মাস্ক বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
এদিকে, এখন পর্যন্ত কুড়িগ্রামে কোনো মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে প্রতিকার প্রতিরোধের আতঙ্ক। আর এ কারণে গত দুদিন যাবত বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক পরিহিত আতঙ্কিত মানুষজনকে দেখা যাচ্ছে। সতর্কতার জন্য মানুষজন কিনতে চাইছেন মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কিন্তু স্থানীয় ফার্মেসিগুলোতে এসব মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার না পেয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছেন।
শহরের জিয়া বাজার এলাকার জনৈক লুনা জাহান জানান, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার এখন উধাও। কাপড়ের দোকান বা ফুটপাতে মাস্ক মিললেও গুনতে হচ্ছে কয়েকগুন বেশি টাকা। এ অবস্থায় আমরা আতঙ্কে আছি।
পৌরবাজার ওষুধ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল কুমার জানান, আমরা স্টকে যা রেখেছিলাম তা বিক্রি করে দিয়েছি। অনেকে বিক্রি করলেও তা গোপনে বেশি দামে বিক্রি করতে পারে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, যেহেতু এখনও রাজধানী শহরের বাইরে জেলাগুলোতে করোনা ভাইরাস দেখা যায়নি সে কারণে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করোনা আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য এ জেলায় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
দাম বৃদ্ধি কিংবা স্টাক প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানান, বুধবার বিকেল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম