বকেয়া বেতনসহ আখ চাষিদের পাওনা টাকার দাবিতে সেতাবগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছে। আজ রবিবার সকাল ১০টায় দিনাজপুরে টিকে থাকা একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেডের প্রধান ফটকের সামনে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মচারীরা এই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে জানানো হয়, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বর্তমান কর্মকর্তা, শ্রমিকদের বেতনসহ চিনিকলের অন্যান্য খরচ বাবদ প্রায় ৩২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।তবে তাদের ৪ মাসের বকেয়া বেতন এবং মৌসুমি শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে জরুরী ভিক্তিতে ৭ কোটি টাকার প্রয়োজন।
তবে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের দাবি উৎপাদিত চিনিকলের চিনি অবিক্রিত থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
চিনিকল সূত্রে জানা যায়, সেতাবগঞ্জ চিনি কলে স্থায়ী ৩৪৩ জন, মেীসুমী ২৬০ জন, চুক্তি ও মাস্টার রোল ২৯৫ জনসহ মোট ৯৩৫ জন শ্রমিক কর্মচারি ও মৌসুমী শ্রমিক রয়েছে। এদের মধ্যে শ্রমিক কর্মচারীদের ৪ মাসের বেতন ও মৌসুমী শ্রমিকদের ৪২ দিনের মধ্যে ৩১ দিনের মজুরি বকেয়া রয়েছে। অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা,বর্তমান কর্মকর্তা , শ্রমিকদের বেতনসহ চিনিকলের অন্যান খরচ বাবদ প্রায় ৩২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
এদিকে, সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেডের কর্মকর্তা, স্থায়ী, অস্থায়ী, মাষ্টার রোল এবং মৌসুমী শ্রমিকরা বেতন ভাতা না পেয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ঈদের আগেই এ বকেয়া পাওনা দেয়ার জন্য দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রশান্ত কুমার চৌহান বলেন, শ্রমিকরা অনাহারে দিন পার করছে। চিনিকলের স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। আমি আশা করছি মিল কর্তৃপক্ষ দ্রুত বেতনের ব্যবস্থা করবে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ