করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন থাকায় খাবার সংকটে পড়েছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা। তাই পর্যাপ্ত খাবার নইলে যাত্রীবাহী পরিবহন চালুর দাবিতে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। তারা প্রায় তিন ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি দশ দিন পর পর শ্রমিকদেরকে খাদ্য দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ সাময়িক তুলে নেয় শ্রমিকরা। রবিবার সকালে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে তিন শতাধিক শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন।
এসময় এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার বিভিন্ন পরিবহন মহাসড়কের উভয় পাশে আটকা পড়ে। পরে খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম রব্বানী ও থানার পুলিশ এসে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, করোনার কারণে এক মাসের বেশি হলো তাদের পরিবহনগুলো সড়কে চলতে দেওয়া হচ্ছে না। লকডাউনের মধ্যেও গার্মেন্টস, বাজার, দোকান ছোটখাটো পরিবহনসহ সবকিছু চলছে কিন্তু তাদের যাত্রীবাহী পরিবহন চলছে না।
বাইরের জেলা থেকে পঞ্চগড়ে বিপুল সংখ্যক ট্রাক মালামাল নিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু স্থানীয় ট্রাক বাস চলতে দেয়া হচ্ছেনা। অন্যান্য সকল বিভাগ খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মোটর শ্রমিকরা কোন কাজও করতে পাচ্ছেনা, কেউ ত্রাণও দিচ্ছেনা। শ্রমিকরা জানান, বর্তমানে তারা খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের অভিযোগ এখন পর্যন্ত তারা সরকারি কোন ত্রাণ পাননি। কেউ তাদের খোঁজ নিচ্ছেন না। তাই তাদের দাবি পরিবহন সড়কে চলতে দেওয়া হোক, নয়তো তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী জানান, প্রত্যেক শ্রমিকই ত্রাণ পাওয়ার কথা। যারা পায়নি তাদের দেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক দশ দিনে শ্রমিকরা যাতে ত্রাণ সে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন