ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা চর অঞ্চলগুলোতে আগাম বন্যা ও জলাবন্ধতা দেখা দিয়েছে। এদিকে তিস্তার পারের মানুষ বন্যার আশঙ্কা করছেন। শনিবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটর উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। ব্যারাজ রক্ষার্থে ৪৪টি জলকপাট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে, গত ৩০দিন ধরে ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর চর এলাকাগুলোতে লোকজন পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধিতে চরের কৃষকরা ভুট্টা নিয়ে বিপাকে আছেন। উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা ও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ও গড্ডিমারীতে ৪ শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ জানিয়েছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, আমার ইউনিয়নের ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, গড্ডিমারীর ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের পরিবারগুলো নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়তেই দুর্ভোগে পড়েন। নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র দোয়ানী ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকোশীলী রবিউল ইসলাম জানান, বৃষ্টি আর উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার কিছু পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর জানান, শনিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলায় প্রায় ১০ হাজার চরবাসী পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা