ঢাকার ধামরাইয়ে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা রেড জোনের আওতাভুক্ত করে তা লকডাউনের ব্যাপক প্রস্তুতি ও মাইকিং করেন উপজেলা প্রশাসন। মাইকিংয়ে বলা হয়েছিল, শনিবার (২০ জুন) থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত মোট ২১ দিন লকডাউন থাকবে। লকডাউনের আওতায় বসবাসকারীরা শুক্রবার বাজারঘাটে গিয়ে কয়েকদিনের বাজার করেন। কিন্তু শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ফের মাইকিং করেন লকডাউন স্থগিত করা হয়েছে। মাইকিংয়ে এমন সংবাদ পেয়ে ক্ষুব্ধ হন ধামরাইবাসী। তারা বলেন করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও উপজেলা প্রশাসন তাদের সাথে করোনা নিয়ে তামাশা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোন এলাকায় লকডাউন করতে হলে ওই জেলার সিভিল সার্জনের লিখিত অনুমোতির প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু ধামরাইয়ে লকডাউনের ক্ষেত্রে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জনের লিখিত অনুমতি ছিল না। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের অভাবে কারনে এমনি ঘটেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
ধামরাইবাসী অভিযোগ করে বলেন, লকডাউনের নামে উপজেলা প্রশাসন কিংবা করোনা প্রতিরোধ কমিটি জনগণের সাথে পুতুল পুতুল খেলা খেলেছেন। কেন তারা সরকারি সব নিয়ম কানুন না মেনে কিংবা সাভিল সার্জনের লিখিত অনুমতি না নিয়ে লকডাউন দিলেন এবং ব্যাপক ঘটা করে মাইকিং করলেন। কেনই বা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সাথে সিভিল সার্জনের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তারা করোনা থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত ধামরাইয়ে লকডাউন চান।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সামিউল হক জানান, ধামরাই পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়ন রেড জোন হিসেবে ঘোষণা হয়েছে ঠিকই কিন্তু লকডাউন সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত না থাকায় তা স্থগিত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ