যমুনা নদীর পানি সামান্য কমলেও জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনো ২১৬টি গ্রামের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী রয়েছে। মানবেতর জীবনযাপন করলেও এখনো এসব পরিবারের কাছে কোন সহায়তায় পৌঁছেনি। সার্বক্ষণিক পানিতে থাকায় পানিবন্দী মানুষের হাতে-পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। পানিবন্দী মানুষগুলো অবিলম্বে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, প্রবল স্রোতের কারণে একমাসের ব্যবধানে আবারও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সিমলা স্পার বাঁধ। এতে প্রায় ৫০টি বসতভিটা বিলীন হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে তীরবর্তী এলাকার মানুষগুলো। এর আগে গত ৩০ মে স্পারের স্যাংক বাঁধটির ৩০ মিটার ধ্বসে গেলে কয়েক লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে মেরামত করা হয়েছিল।
কিন্তু মাত্র একমাসের ব্যবধানে আবারো ভেঙ্গে যাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতাকে দুষছেন স্থানীয়রা। উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙ্গনকবলিতদের পুনর্বাসনসহ খাদ্য সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার প্রবল স্রোতের কারণে স্পারের স্যাংক বাঁধটির ৭০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। বাকিটুকু রক্ষা করতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন