২২ অক্টোবর, ২০২০ ২০:৪৮

সেন্টমার্টিনে শত শত পর্যটক আটকা

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

সেন্টমার্টিনে শত শত পর্যটক আটকা

বৈরি আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন শত শত পর্যটক। মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় বৃহস্পতিবার পর্যটকরা ফিরতে পারেনি। সেখানে প্রায় ৪ শতাধিক পর্যটক রয়েছেন।

এর মধ্যে কক্সবাজার থেকে ৩০০ জনের ‘আমার বাজার’ নামে একটি দল তিন দিনের দ্বীপে ভ্রমণে যায় গত বুধবার। পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে করে কক্সবাজার থেকেই সরাসরি সেন্টমার্টিন পৌঁছেন এসব পর্যটকরা।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরের মধ্যে কিছু এলাকায় ২ এবং কিছু এলাকায় ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

লঘুচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

জানতে চাইলে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, 'ভ্রমণে আসা সেন্টমার্টিনে চার শতাধিকের বেশি পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছে। তারা আজকে ফিরে যাবার কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে ফিরতে পারেনি। কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যটকদের মাইকিং করে দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়েছিল। অনেকে কথা শুনেনি।’

তিনি জানান, হঠাৎ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে সকল নৌযানসহ জেলেদের সাগরে মাছ শিকারে না যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেজন্য খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।

দ্বীপে পর্যটকরা নিরাপদে রয়েছে উল্লেখ করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান, 'সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর রাখতে দ্বীপের পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।'

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি সদস্য হাবিব জানান, ‘সাগর উত্তাল ও বৈরি আবহাওয়ায় কক্সবাজার থেকে জাহাজ না আসায় দ্বীপে চার শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছে। এর মধ্যে গত বুধবার ৩০০ জনের একটি পর্যটক দল তিন দিনের ভ্রমণে আসে সেন্টমার্টিনে। তবে পর্যটকরা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে আছেন। সাগর স্বাভাবিক হয়ে গেলে পর্যটকরা ফিরে যাবেন। তাছাড়া সকাল থেকে দ্বীপে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়।'

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, 'সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। বৈরি আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পর্যটকরা ফিরবে।'

অন্যদিকে, কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামে একটি পর্যটবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি পেলেও এখন পর্যন্ত টেকনাফ থেকে কোন পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি পায়নি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর