২৩ অক্টোবর, ২০২০ ১৪:২৬

অবিরাম বৃষ্টিতে বরিশালে জলাবদ্ধতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

অবিরাম বৃষ্টিতে বরিশালে জলাবদ্ধতা

জনজীবন বিপর্যস্ত

গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। বরিশালের কীর্তনখোলা, মেঘনা এবং তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। অব্যাহত বৃষ্টি এবং নদীর পানির অস্বাভাবিক চাপের কারণে বরিশালের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি আরও অন্তত একদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।  

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. আব্দুল কুদ্দুস জানান, গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত ২ দিনে বরিশালে ২২৯.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯০ মিলিমিটার এবং শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। সকাল ৭টায় নিম্নচাপের অবস্থান ছিল পায়রা সমুদবন্দর থেকে ২৮০ কিলোমিটার এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। এটি ক্রমশ উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ কারণে ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া এবং ৩ থেকে ৫ ফুট উচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। 

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মো. মাসুম জানান, নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়েছে। এর ওপর আবার অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এসব কারণে সমুদ্রে এবং অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে জোয়ারের সময় পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার, মেঘনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার এবং তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জোয়ারের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর পানি আবার পিবৎসীমার নিচে নেমেছে। 

অব্যাহত বৃষ্টি এবং নদীর পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের বিস্তির্ন নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। নগরীর বগুড়া রোড এবং নবগ্রাম রোডসহ বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। 

বৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতার কারণে বরিশালের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষজন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। বিশেষ করে কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর