ঠাকুরগাঁওয়ে রেজাউল ইসলামকে (২০) অপহরণ ও শ্বাসরোধ করে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে করা মামলায় নিহতের ৩ বন্ধুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত ।
এছাড়া তাদের ৩ জনকে পৃথকভাবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, অপর জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর আসামিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার এ রায় প্রদান করেন ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত দায়রা জজ বিএম তারিকুল কবীর।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সুইট আলম নওগাঁ জেলার বারিল্লা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আকবর আলী সর্দারের ছেলে, মেকদাদ বিন মাহতাব ওরফে পলাশ দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষীণ পলাশবাড়ি গ্রামের মাহতাব উদ্দিন শাহর ছেলে, হাসান জামিল ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার ভানোর সরকারপাড়া গ্রামের বজির উদ্দিনের ছেলে। এদের মধ্যে হাসান জামিল পলাতক রয়েছে।মামলা সুত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত সুইট আলম, মেকদাদ বিন মাহতাব ওরফে পলাশ ২০১৫ সালের ৪ মার্চ দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দরের বগুড়াতলি বাজার হতে তাদের বন্ধু রেজাউল ইসলামকে অপহরণ করে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের আরেক বন্ধু হাসান জামিলের বাসায় নিয়ে আসে। পরদিন তারা রেজাউলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কেড়ে নেয় ও তাকে সরকারপাড়া গ্রামের সলেমানের বাঁশঝাড়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ পুড়িয়ে বিকৃত করে ওই বাঁশঝাড়েই ফেলে রাখে।
৬ মার্চ স্থানীয় লোকজন বালিয়াডাঙ্গি পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের চেহারা বোঝা না যাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। অপরদিকে রেজাউলের পরিবারের লোকজন দিনাজপুর র্যাব-১৩ এ বিষয়টি অবগত করে। র্যাব-১৩ এর সদস্যরা মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে রেজাউলের খুনের বিষয়টি উদঘাটন করেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন