সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে বাবু মোল্লা নাামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নীলকণ্ঠপুর গ্রামের নুরুল মোড়লের মালিকানাধীন পুকুরপাড়ে লেবু গাছের ডালের সাথে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাবু মোল্লা উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের রহিম মোল্লার ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বাবু মোল্লার আপন শ্যালক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে তার সৎ ভাই নুরুল মোড়ল সন্ধ্যার পর তার মোটরসাইকেলে করে বাবু মোল্লাকে নিয়ে বিষ্ণুপুর বাজারে যায়। গভীর রাতে তারা বাড়ি ফেরে। সকালে প্রতিবেশী আবু সামাদ ও আব্দুল গফফার সেটে কাঁকড়া কিনতে যাওয়ার সময় বাবুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানসহ পুলিশকে খবর দেয়। পরে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক জিয়ারত আলী জানান, নিহত বাবু মোল্লার ডান পায়ের হাঁটুর উপরে আঘাতের চিহ্ন আছে। দু’পায়ের নখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। লেবু গাছে ঝোলানো বাবু দুই পা ও হাঁটু মাটির সঙ্গে লেগে আছে। ধারণা করা হচ্ছে ভোর রাতে তাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা গলায় ওড়না জড়িয়ে লেবু গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখে গেছে। তদন্ত চলছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
নিহতের পরিবারের দাবি, সম্প্রতি বাবুর আপন শ্যালক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে তাদের সৎ ভাই নুরুল মোড়লের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার ওই জমি নিয়ে মাপ জরিপও হয়। এ সময় বাবু তার শ্যালক আরিফুলের পক্ষ নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেও এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন