জেলায় জীন এক্সপার্ট মেশিনে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম সম্প্রতি শুরু হয়েছে। নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কার্যালয়ে প্রতিদিন ১২ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। উদ্বোধনের পরে ছয় কর্মদিবসে মোট ৫৮ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ১৪ জনের পজিটিভ এবং ৪৪ জনের নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে।
নাটোরে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ার ফলে বর্তমানে দ্রুততার সাথে ফলাফল পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রতিদিনের পরীক্ষা শেষে ঐ দিনই ফলাফল চলে যাচ্ছে সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে, পরদিনই ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে।সুষ্ঠুভাবে নমুনার পরীক্ষা কার্যক্রম সমাধা করতে ঢাকায় দুইদিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কার্যালয়ের (পুরনো সদর হাসপাতাল) মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বিধুভূষণ পাল। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাসহ ফলাফল প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে তাকে সহযোগিতা প্রদান করছেন ব্র্যাকের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সোহেল রানা।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান বলেন, জীন এক্সপার্ট মেশিনে নাটোরেই করোনা ভাইরাস পরীক্ষার পাশাপাশি বর্তমানে পিসিআর মেশিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজেও নমুনা পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হচ্ছে। নাটোরবাসী আশা করছে, ভবিষ্যতে নাটোর সদর হাসপাতালে একটি পিসিআর মেশিন সংযোজন করা সম্ভব হবে। ঐ সময় নাটোরেই বড় পরিসরে একদিনে শতাধিক ব্যক্তির করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল