যশোরের যশ খেজুরের রস- এ প্রবাদকে সত্য করে তুলতে আর কয়েক দিনের মধ্যে বেনাপোল শার্শাসহ যশোর জেলাজুড়ে ঘরে ঘরে শুরু হবে খেজুরের গুড়- পাটালির তৈরির মহা উৎসব।
বাড়িতে বাড়িতে খেজুরের রস জ্বালিয়ে পিঠা পায়েসসহ নাম না জানা হরেক রকমের মুখরোচক খাবার তৈরির ধুম পড়ে যাবে। তাই শীত মৌসুম শুরু হতে না হতেই রস ও গুড়ের চাহিদা মেটাতে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে খেজুর গাছ খিলি দিতে শুরু করেছে। ধারালো দা(গাছিদা) দিয়ে খেজুর গাছের সোনালী অংশ বের করে থাকে- যাকে বলে চাঁচ দেওয়া। চাঁচ দেওয়ার সপ্তাহ খানেক পর নোলন স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হবে খেজুর রস আহরণের কাজ।
বেনাপোলের গয়ড়া গ্রামের ডা. আব্দুল হামিদ জানান, যশোরের খেজুরের রস ও পাটালি গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক।গুড়-পাটালির দাম বেশি পাওয়ার জন্য এ অঞ্চলের গাছিরা শীত মৌসুম আসার আগেই খেজুর গাছ থেকে রস আহরণের জন্য আগাম গাছকে প্রস্তুত করে রাখে। আগাম গাছ তোলায় রস ও গুড়ের দাম বেশি পাওয়া যায়। যার এক একটি খেজুর গাছ রস আহরণের জন্য প্রস্তুত করতে গাছিকে খরচ করতে হয় প্রায় ২০০ টাকা।
তিনি আরও জানান, এ মৌসুমে আমি প্রায় তিন’শ খেজুর গাছ থেকে রস আহরণ করব। খেজুর গাছের রস, গুড়-পাটালি বিক্রয় করে করে খরচ বাদে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি জানান।
শার্শা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, এবছর সঠিক সমায়ে শীতের আগমন হওয়াতে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খেজুরের আহরণের জন্য গাছিরা আগাম খেজুর গাছগুলো প্রস্তুত করে রেখেছে। এখানে থেকে গাছিরা রস আহরণ করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়। শার্শা উপজেলাতে প্রায় লক্ষাধিক রস প্রদানকারী খেজুর গাছ রয়েছে। সেখান থেকে গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও মিষ্টান্ন তৈরী করে নিকটস্থ বাজারে বিক্রয় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার