শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নে প্রান্তিক কৃষকের দুই শতাধিক একর জমি আবাদের আওতায় আনতে বিএডিসি'র উদ্যোগে প্রায় ২ কিলোমিটার পাইপ ড্রেনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকরা।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার মহারশি নদী থেকে বিএডিসি'র স্থাপিত পাইপ লাইন ড্রেনটি নলকুড়া ইউনিয়নের বাঐবাধাঁ শেষ প্রান্ত পর্যন্ত আসায় সেখানকার দীর্ঘ দিনের অনাবাদি জমিগুলো আবাদের আওতায় আসে। ওই ড্রেনটি সম্প্রসারণ করে ভারুয়া, বাঐবাধা ও জারুলতলা গ্রামে আনা হলে প্রায় ২ শতাধিক একর জমি সেচ ব্যবস্থাপনায় আসব। বর্তমানে ওই এলাকার জমিগুলো অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে।
নলকুড়া ইউনিয়নের ফাকরাবাদ মানিককুড়া গ্রামের বিএডিসি'র সেচ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, কৃষক সিদ্দিকুর রহমান, সেলিম মিয়া, শফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলামসহ অসংখ্য কৃষক জানিয়েছে, বিএডিসি'র এই দুই কিলোমিটার পাইপ লাইন ড্রেনের ব্যবস্থা করতে পারলে ৩ গ্রামের অন্তত ২ শতাধিক একর অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আসবে। এতে প্রান্তিক পযার্য়ের ৫ শতাধিক কৃষক উপকার ভোগী হবে।
এ ব্যাপারে নলকুড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মজনু মিয়া কৃষকের এই দাবিকে যৌক্তির বলে দাবি করেছেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেছেন, গুরুত্ব বিবেচনায় বিষয়টি দেখবেন।
শেরপুর জেলার বিএডিসি'র (ক্ষুদ্র সেচ) প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মো. আলাল উদ্দিন জানান, ওই এলাকাতে বহু অনাবাদি জমি আছে। এই অনাবাদি জমিগুলোকে সেচের আওতায় আনতে প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার