জমিও নেই। তাই পরিবারের কোন মতে অন্যের জমিতে পলিথিন দিয়ে খুপরি ঘর বানিয়ে থাকেন মদারীপুরের উপজেলার গোপালপুর এলাকার পুয়ালী গ্রামের অসহায় বৃদ্ধা সালেহা বেগম (৬০)।
আক্ষেপ করে বললেন, রাতে ঘুমাতে পারি না, এই শীতের দিনে প্রচন্ড শীত ঢোকে ঘরের ভেতরে। ঝড় হলে এ ঘরে থাকতে পারি না, উলোটপালট করে দিয়ে যায় সব। তহন মোগো আশ্রায় নিতে হয় সাইক্লোন সেন্টারে। এ রকম নানামুখি সমস্যা নিয়ে চোখের জ্বল ফেলে কথাগুলো বললেন সালেহা।
তিনি আরো বলেন, মোর স্বামী রহমান হাওলাদার বয়সের ভারে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। সে কোন কাজকর্মও করতে পারে না। মোর চারটি মেয়ে, কোন ছেলে নাই। স্বামীর যা ছিল সব বিক্রি করে বহু কষ্টে তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে, এখন তারা যে যার মত করে স্বামীর সঙ্গে আছে। ছোট মেয়ে সাথী পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে কিন্তু অর্থের অভাবে তারে আর পড়াতে পারছিনা। অনেক সময় না খেয়ে থেকে দিন চলে যায়। একদিকে খেতেও পারিনা অন্যদিকে মাথা গোজার ঠাইও নাই।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ২০০৭ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরে বৃদ্ধ সালেহা বেগমের স্বামীর একমাত্র সম্বল দুই চালা টিনের বসত ঘরটি উড়িয়ে নিয়ে যায়। এতে করে সালেহা পরিবার নিয়ে থাকার জন্য কোন স্থান ছিল না। এরপর থেকে সালেহা বেগমকে পার্শবর্তী দক্ষিন গোপালপুর গ্রামের রহিম কাজী অস্থায়ীভাবে তার পরিত্যক্ত ভিটায় থাকার জন্য জায়গা দেন। পরে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কিছু টিন ও পলিথিন সংগ্রহ করে সেখানে সালেহা বেগম ছোট একটি এক চালা খুপড়ি ঘর বানিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর বলেন, ভুলক্রমে তার নামটা ঘরের তালিকায় যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বৃদ্ধা সালেহার নাম তালিকায় উঠে না থাকলেও তাকে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল