জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে ধাতব পদার্থ দিয়ে খুঁচিয়ে দুই চোখ নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ সহোদরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। তবে অপর দুইজনকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টো গ্রেফতারকৃত দুই সহোদর জামিনে মুক্তি পেয়ে এখন ওই মামলার বাদিসহ ভিকটিমের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। দুই চোখ নষ্ট করে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারসহ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ক্ষতিগ্রস্থ সোহাগের পরিবার।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান নগরীর পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা সোহাগ খান ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দুই চোখের দৃষ্টি হারানো সোহাগ খানের বোন মুক্তা আক্তার বলেন, তার ভাই সোহাগ খান পরিবারের একমাত্র আয়ক্ষম ব্যক্তি। জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে নগরীর কশাইখানা এলাকায় ৪ সহোদর আলামিন, সাইফুল, নাজমুল ও রাব্বি ধাতব পদার্থ দিয়ে খুঁচিয়ে তার ভাই ভাঙারী ব্যবসায়ী সোহাগ খানের দুই চোখ নষ্ট করে দেয়। তার দুই চোখই দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করে। অপর দুই ভাইকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত দুই ভাই জামিনে মুক্তি পেয়ে এখন তাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এতে তারা নিরাপত্তাহীন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দৃষ্টি হারানো সোহাগ তার উপর নিষ্ঠুর নির্মমতার বর্ণনা দিয়ে অভিযুক্তদের কঠোর বিচার দাবি করেন। দৃষ্টি হারানো স্বামী অনাগত সন্তানের মুখ দেখতে পারবে না এমন আক্ষেপ করে সোহাগের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম অভিযুক্তদের কঠোর বিচার দাবি করেন।
সোহাগের মা মাকসুদা বেগম বলেন, তার ছেলের মতো পরিণতি যাতে আর কারোর না হয় সে জন্য প্রকাশ্যে চোখ খুচিয়ে নষ্টকারী ৪ সহোদরের কঠোর বিচার চান তিনি।
এদিকে ওই মামলায় পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। বাদী কিংবা তার পরিবারকে কেউ হুমকি দিলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন পুলিশ কমিশনার।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা