পটুয়াখালীর গলাচিপায় শস্যক্ষেতে ছাগল প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে সুমি (২২) নামের এক গৃহবধুর চোখে ও সারা শরীরে মরিচের গুড়া দেওয়া হয়েছে। এসময় তার চাচা আলতাফ হাওলাদার (৫৫)-কে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সামছুল হক হাওলাদার (৬০) ও তার ছেলে কালাম হাওলাদার (৩০) এর বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার সকালে উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে। গৃহবধূ সুমি কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের জলিল হাওলাদারের মেয়ে এবং তার আহত চাচা আলতাফ হাওলাদার একই বাড়ির বাসিন্দা। হামলাকারী সামছুল হক হাওলাদার ও তার ছেলে কালাম হাওলাদার একই এলাকার।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূ সুমিকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্যৃ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং আহত আলতাফ হাওলাদারকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত গৃহবধূ সুমি জানান, সোমবার সকাল ৯ টার দিকে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে সামছুল হক হাওলাদারের জমিতে একই গ্রামের জলিল হাওলাদারের মেয়ে সুমির ছাগল প্রবেশ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সামছুল হক হাওলাদার ও তার ছেলে কালাম হাওলাদার গৃহবধূ সুমিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে সামছুল হক হাওলাদার ও তার ছেলে কালাম হাওলাদার সুমির চাখে ও সারা শরীর মরিচের গুড়া দিয়ে এবং কিল-ঘুষি দিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় সুমির চাচা আলতাফ হাওলাদার বাঁধা দিতে আসলে তাকেও দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা।
জানা গেছে, সুমি দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। গৃহবধূ সুমি উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের কোটখালী গ্রামের সাইদুল মুন্সির স্ত্রী।
সুমির বাবা জানান, আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ। অতি দ্রুত আমরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করব।
গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এখনও অভিযোগ পাইনি, পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ