কম সময়ে, স্বল্প পুঁজি ও জায়গায় এবার লতিরাজ কচু চাষে পাঁচগুণ লাভের আশা করছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সফল চাষি জাবের আহমদ। এর আগে সর্যমূখী, ক্যাপসিকাম, নাগা মরিচ, ব্রকলি ও চেরি টমেটো চাষেও সাফল্য অর্জন করেন তিনি। এ বছর লতিরাজ কচুর সাথে করেছেন মুলা, শিম ও ডাব বেগুনের পরীক্ষামূলক চাষও।
সরেজমিন জাবেদ আহমদের শীতকালীন সবজি চাষ দেখতে যাওয়া হয় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামে। গিয়ে দেখা যায়, তার বসতবাড়ির পাশে ২৫ শতক জায়গায় লতিরাজ কচু চাষ করেছেন তিনি।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়, গেল অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী পেয়ে ৩৫-৩৬শ লতিরাজ (বারি পানি কচু-২) কচুর চারা রোপণ করেন। রোপণের দুই মাসের মাথায় লতি ও নতুন চারা দিতে শুরু করে গাছ। এ পর্যন্ত কেজি প্রতি ৫০ টাকা দরে লতি ও ২ টাকা দরে আশানুরূপ লাভে বিক্রি করেছেন চারা গাছ।
তিনি জানান, কচু চাষে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এখন এ ক্ষেত থেকে সপ্তাহে উৎপাদন হবে প্রায় ৯০-১০০ কেজি লতি। যার বাজার মূল্য ৫ হাজার টাকা। ক্রমান্বয়ে ৫ মাস পর্যন্ত কেবল লতি বিক্রি হবে লক্ষাধিক টাকার। এ ছাড়া ৫০-৬০ হাজার টাকার চারা বিক্রিরও টার্গেট রয়েছে তার। ঠিকমতো ফলন হলে খরচ বাদে এ প্রজেক্ট থেকে আয় হবে তার প্রায় পাঁচগুণ।
জাবেদ আহমদে বলেন, আয়রনে ভরপুর অসাধারণ সুস্বাদু এ সবজির চাহিদা বাড়ছে। এগুলো চাষে অর্থ ও পরিশ্রম বেশি লাগে না। রোপণের পর সপ্তাহে একদিন একজন শ্রমিকের প্রয়োজন পড়ে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, কচু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, পরিবেশবান্ধব ও ভিটামিনযুুক্ত। উৎপাদনে খরচ কম, রোগবালাইও কম। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্বনাথ উপজেলায় পানি কচু, লতি কচু, মুখী কচু, নতুন জাতের গোল আলু (বারি আলুু ২৫-এস্টারিক্স), মিষ্টি আলুর আবাদ বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান আছে। সেই সাথে কৃষকদের উচ্চমূল্যের কন্দাল ফসল আবাদে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ