পাবনায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক খাওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে চলে যাওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা গাজী নেতাকর্মীদের মধ্যে কেক বিতরণ করছিলেন। এ সময় পিছন থেকে কয়েকজন উশৃঙ্খল যুবক কেকের উপর হামলে পড়ার চেষ্টা করলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম এবং আমি নেতাকর্মীদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। পরে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে আবারও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা জানান, কেক কাটার পর জেলা ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলী গ্রুপের কয়েকজন কর্মী কেক জোরপূর্বক নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অন্যরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় হাতাহাতি। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সৈকত এর নেতৃত্বে সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের কর্মীদের উপর হামলার চেষ্টা চালালে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোডে লোকজন ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করা শুরু করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পথচারী ও ছাত্রলীগ কর্মীসহ ৮/১০ জন আহত হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, কেক খাওয়া নিয়ে হালকা একটু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল, তাৎক্ষণিক আমরা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও বড় ধরনের তেমন কিছু ঘটেনি।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সৈকত বলেন, জুনিয়র নেতাকর্মীরা ঝামেলার সৃষ্টি করলে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করি। অস্ত্র বের করার প্রশ্নই ওঠে না, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই পরিষ্কার হওয়া যাবে বলেও দাবি তার।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলী বলেন, জুনিয়র নেতাকর্মীদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল, তেমন কিছু নয়।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত নাসিম আহমেদ জানান, কেক খাওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটু ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল। তাৎক্ষণিক ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা