২১ জানুয়ারি, ২০২১ ০৪:৩৬

চার নৌকাসহ ২০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

চার নৌকাসহ ২০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী

টেকনাফে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনী সদস্যরা ২০জন বাংলাদেশি জেলেসহ চারটি মাছ ধরার নৌকা ধরে নিয়ে গেছে। জাল কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি জেলেদের মারধর করে আহত করা হয়েছে। জেলেদের নাম-ঠিকানা তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। তবে জেলে সবাই উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদিয়ার অদূরে সীতাপাহাড় নামক বঙ্গোপসাগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাবরাং ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ নুরুল আমিন। 

তিনি জানান, বুধবার দুপুরের দিকে বঙ্গোপসাগরের সীতাপাহাড় এলাকায় টেকনাফ উপজেলা সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া গ্রামের কবির মাঝির ছেলে আমির হোসেন, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবুল বশর ওরফে বাইল্যা, ডাঙ্গারপাড়ার মকবুল আহমেদের ছেলে অলি আহমদ ও আমির হোসেনের ছেলে আমিরুল ইসলামের মালিকানাধীন চারটি নৌকায় (প্রতিটিতে ৫ জন করে)  ২০জন জেলেসহ নৌকাগুলোকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যান মিয়ানমারের নৌবাহিনী। নৌকাসহ জেলেদের ধরে নেওয়ার বিষয়টি মুঠোফোনের মাধ্যমে নৌকার মালিকেরা জানিয়েছেন।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা নৌকাসহ ধরার পর জেলেদের অনেক মারধর করা হয়েছে। তিনটি নৌকার জাল কেড়ে নেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে জানতে সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড স্টেশনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনটি রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

তবে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ওই এলাকাটি সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের আওতাধীন। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, ওই অংশটি কোস্টগার্ড সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কেউ এ পর্যন্ত কিছু জানায়নি। 

উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর নাফনদী মোহনা ও বঙ্গোপসাগর থেকে ৯ বাংলাদেশি জেলেসহ একটি মাছ ধরার নৌকা ধরে নিয়ে গেলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তৎপরতায় ২৩ দিনের মধ্য পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেয়। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর