কুড়িগ্রামে গত দুই সপ্তাহ যাবত প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। আর এরই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। গত তিনদিন যাবত শীতের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়ে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারনে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। জেলার জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহেও শীতজনিত রোগী প্রতিদিন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
সদর উপজেলার ভেলাকোপা এলাকার জলি বেগম বলেন, আমার ছোট মেয়ের একটা দুই বছরের বাচ্চা গত কয়েকদিন ধরে কাশি। হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছি, ডাক্তার বলছেন নিউমোনিয়া হয়েছে। তিনদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। শুনছি যে খুব নাকি ঠাণ্ডা লেগেছে সেজন্য নিউমোনিয়া হয়েছে।অপরদিকে, উলিপুর উপজেলার ধরনী বাড়ি ইউনিয়নের মাঝবিল এলাকার বৃদ্ধ হুরমুজ আলী (৭৩) বলেন, আমরা বুড়া মানুষ। কালকে এসেছি হাসপাতালে। কাশতে কাশতে জান শেষ! ডাক্তার ওষুধ দিয়েছে। এখনা আরাম বোধ করছি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা.পুলক কুমার সরকার জানান, শীতের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। শুক্রবার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১২জন শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ২৩ জন যাদের ১৮জনই শিশু।
তিনি আরো বলেন, কুড়িগ্রামে সচরাচর শীতের প্রকোপ এবার একটু বেশি। তবুও আজ শুক্রবার হওয়ায় মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, শুক্রবার গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার তাপমাত্রা ১১দশমিক ৩ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ