২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:০৪

কনকনে ঠাণ্ডায় আবারও জবুথুবু কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কনকনে ঠাণ্ডায় আবারও জবুথুবু কুড়িগ্রাম

শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় ফের কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম। মঙ্গলবার পুরো দিন কেটে গেলেও সূর্যের দেখা মেলেনি। সেই সাথে উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠাণ্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা।

এর আগে গত তিনদিন ধরে দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও রাত ৮ টার পর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল প্রকৃতি এবং তা অব্যাহত ছিল সকাল ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত। কিন্তু মঙ্গলবার দিনভর সূর্যের দেখা পাননি এ জনপদের মানুষ। কুয়াশায় ঢেকে গেছে গোটা অঞ্চল।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।তিনি বলেন,মৃদু শৈত্য প্রবাহ আবারো শুরু হয়েছে। 

এদিকে, ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষি শ্রমিকরা। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠাণ্ডায় শ্রমিকরা ঠিকমত মাঠে কাজ করতে না পারায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে বোরো আবাদ। কনকনে ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা।

রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক মজনু মিয়া বলেন, এরকম ঠাণ্ডায় এমনিতেই হাত-পা বাইরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তার উপর পানিতে নেমে রোয়া লাগানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। হলোখানা ভেরভেরির রিকশাচালক সফিকুল জানায়, ‘কনকনে ঠান্ডাত কতক্ষণ এস্কা চালান ভাই। শিরশির বাতাস জামা-কাপড় ছেদ করি ঢুকে। ঠান্ডাত টেকা যায়না।’

অন্যদিকে অবিরাম গত দুই সপ্তাহেরও বেশি ঠাণ্ডা ও শীতে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীত জনিত রোগে। 

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর