ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে কাতর দিনাজপুরের মানুষ। কয়েক দিন ধরে কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বুধবার দিনভর সূর্যের মুখ দেখা যায় নি। গতকাল সকালেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
শীত নিয়ে শংকায় রয়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা। কনকনে শীত ও শিশির কারণে বীজতলা নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করতে পলিথিন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছে কৃষক। ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকলে আলুসহ শীতকালীন সবজি, বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কৃষকরা জানায়।
অনেক স্থানে কেউ কেউ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এই শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।অটোভ্যান চালক মতিউর রহমান বলেন, ঠান্ডার চোটত হাত-পা ক্যান-ক্যান করছে। মনে হচ্ছে হাত-পার রগ জড়ো হয়ে যাওছে। রিকশা চালানাই কঠিন হয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তোফাজ্জুর রহমান জানান, বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকবে এবং তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এরপর তাপমাত্রা বাড়বে বলে জানান তিনি। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় গত দুদিন ধরে জনজীবন বিপর্যস্ত।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার