পঞ্চগড় সদর উপজেলার সীমান্ত থেকে ওমর ফারুক নামে পঞ্চগড় পুলিশে কর্মরত এক সদস্যকে ধরে নিয়ে যাবার পর সীমান্ত বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। রবিবার রাতে হাড়িভাষা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় ওমর ফারুক ও মোশারফ হোসেনসহ পঞ্চগড় পুলিশের ৩ সদস্য সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৩ এর ৭ ও ৮ সাবপিলার এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে সীপাহীপাড়া গ্রামে প্রবেশ করে। ভারতের এই গ্রামে রমরমা মাদকের ব্যবসা হয়। ইয়াবা, ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য এই গ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর কয়েকজন ভারতীয়র সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই তিন পুলিশ সদস্য। একসময় এক ভারতীয়র হাতে হ্যান্ডকাফ পড়ায় মোশারফ হোসেন। এ নিয়ে তুমুল বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। এক সময় ওই গ্রামের গ্রামবাসী তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা ওমর ফারুককে আটক করে রাখে। পরে ভারতীয়রা ওমর ফারুককে মারধর করে। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
সোমবার রাত ৭ টার দিকে বিজিবি বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই পুলিশ সদস্যকে ফেরত দেয় বিএসএফ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিএসএফের হাতে আটক পুলিশ সদস্যকে বিজিবির হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। আমরা এখন তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। তারা সীমান্তে কেন গিয়েছিল এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন