মাদকের অগ্রিম টাকা নিয়ে মাদক দিতে না পাড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নাজু মিয়া নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে রাসেল নামের আরেক মাদক ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় রাসেল মিয়া (২৭) কে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। রাসেল আখাউড়া উপজেলার নয়ামুড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে।
সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিবিআই কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ২৪ জুলাই দুপুরে আখাউড়ায় ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন জমিতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। আখাউড়া থানায় প্রথমে অপমৃত্যু মামলা দায়েরের পর ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর নিহত নাজুর বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের আদেশ দেন।
পিবিআই’র এসআই মিজানুর রহমান মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। দীর্ঘ আট মাস পর তদন্তে বের হয়ে আসে নাজু মিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য। গ্রেফতার করা হয় রাসেল মিয়া (২৭) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে।
গ্রেফতারকৃত রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নাজু মিয়াকে ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাদক ক্রয় ও পরিবহনের কাজে ব্যবহার করত রাসেল মিয়াসহ স্থানীয় একটি মাদক চোরাচালান চক্র। ঘটনার কিছু দিন পূর্বে নিহত নাজু মিয়া অগ্রিম টাকা নিয়ে মাদক সরবরাহ করতে পারেনি। তাই মাদক চোরাচালানের তথ্য পুলিশের কাছে ফাঁস করে দিতে পারে এ সন্দেহে রাসেল মিয়া ও তার সহযোগীরা নাজু মিয়াকে ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন জলাভূমিতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ঘাড়ে ও পিঠে আঘাত করে পানিতে ডুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। তারপর নাজুর লাশ ফেলে দিয়ে তার মোবাইলটি সাথে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আকষ্মিক অভিযান চালিয়ে নাজু মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি উদ্ধার করে এবং সেটের ব্যবহারকারী রাসেল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল মিয়া ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত রাসেল মিয়া গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান জানান, নিহত নাজুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন