কুমিল্লার দেবিদ্বারের স্টুডিও ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র পালকে হত্যা মামলায় অপর ব্যবসায়ী ফিরোজ মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন। নিহত ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র পাল উপজেলার মোহনপুর বাজারের সুমা ডিজিটাল স্টুডিও’র মালিক ছিলেন। তিনি মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের সুরেশ চন্দ্র পালের ছেলে। হত্যাকারী ফিরোজ মিয়া উপজেলার বাউরা গ্রামের শব্দর আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (অতিরিক্ত পিপি) অ্যাডভোকেট মো.নুরুল ইসলাম। তিনি এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো.ইলিয়াস মিন্টু ও অ্যাডভোকেট জয়দেব চন্দ্র সাহা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে মোহনপুর বাজারে নারায়ণের পাশের দোকান প্রীতি ডিজিটাল স্টুডিও’র মালিক আসামি ফিরোজ মিয়া তার স্টুডিওতে প্রবেশ করে। এ সময় ফিরোজ ঘুমন্ত অবস্থায় নারায়ণের দুই হাত ও দুই পা বেঁধে ফেলে। পরে বৈদ্যুতিক শক ও স্টুডিও’র ব্যবহৃত ছুরি দিয়ে নারায়ণের শ্বাসনালিতে আঘাতে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর ফিরোজ স্টুডিওর ব্যবহৃত ভিডিও ক্যামেরা, প্রিন্টার, কম্পিউটারসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার পরদিন নারায়ণের ভাই দুলাল চন্দ্র পাল বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে সময় দেবিদ্বার থানার পুলিশ আসামি ফিরোজ মিয়াকে লুন্ঠিত মালামালসহ গ্রেপ্তার করে। পরে ফিরোজ হত্যায় দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ফিরোজ জানায়- নারায়ণের স্টুডিওর মালামালের লোভে তাকে হত্যা করেছে সে। হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ৬ বছর পর আদালতে আসামির ফিরোজের সামনে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো.নুরুল ইসলাম বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ের মাধ্যমে নারায়ণ হত্যার ন্যায় বিচার হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার