চিকিৎসা খরচ চায় অগ্নিদগ্ধ এতিম বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী আইভি (১০)। ৩ বছর বয়সে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের নিশুনিয়াকান্দা গ্রামে নানা আব্দুল আজিজ ও নানী জুলেখার বাড়িতে কুপি বাতি থেকে গায়ের কাপড়ে আগুন লেগে পুড়ে যায় তার বুক ও গলাসহ শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরপর বিভিন্ন জনের নিকট থেকে সাহায্য তুলে গাজীপুরের তেতুইতলায় চিকিৎসা নিয়েছিল আইভি। কিন্তু তার গলার নিচে থুতনীর চামড়া কুঁচ লেগে থাকায় আজও সে উপর দিকে মুখ তুলে তাকাতে পারে না। টাকার অভাবে আর চিকিৎসাও নেওয়া হয়নি। এমন অবস্থায় তার নানী আইভির পরিপূর্ণ চিকিৎসা ও ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত।
সরেজমিন গিয়ে কথা হয় আইভির নানী জুলেখার সাথে। তিনি বলেন, আইভি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। সে উপর দিকে তাকাতে পারে না। আমরা গরীব মানুষ। আগে মাইনষের বাড়িতওয়ালা থাকতাম। এখন আধাকাঠা জমি কিনে ভাঙা ঘরে থাকলেও বর্ষকালে এই ঘরে থাকা যায় না। উপর থেকে পানি পড়ে। আইভির নানা পরের বাড়িতে কাজ কাম করতো। এখন তারও পায়ে সমস্যা। খুঁড়িয়ে হাঁটে। সব মিলিয়ে আমরা আইভির চিকিৎসা ও ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত।
তার মা রাবেয়াকে শেরপুরে মাজার সংলগ্ন পাপরিয়া গ্রামে মৃত ফরহাদের ছেলে ফরিদের নিকট বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ফরিদ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক না পেয়ে আমার মেয়েকে তালাক দেয়। আর আইভির এ দুর্ঘটনার কথা জেনেও আজও সে কোন খোঁজ খবর নেয়নি। পরে অনেক কষ্ট করে রাবেয়াকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছি। আইভির মা-বাবা বলতে এখন কেউ নেই বললেই চলে। সে আমার কাছেই থাকে। আমার অভাবের সংসারে নিয়মিত দুমুঠো খাবার জোটে না। বড় মেয়ের জামাইটাও গাড়ির তলে পড়ে মারা গেছে। অহন সে ঢাকায় গামেন্টসে থাকে। ওখান থেকে কিছু পাঠাইলে খাই। এমতাবস্থায় আমি আইভির চিকিৎসা ও ভবিষ্যত বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শিহাব উদ্দিন খানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা আবেদন জমা দিতে বলেন। দেখি, কি করা যায়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল