নগরীর কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার কোয়ার গ্রামের ওসমান গনির ছেলে মোবারক হোসেনকে (৬০) পায়ের টিউমারের চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। অপারেশন করার সময় এ্যানেসথেসিয়া দিলে রোগীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল ঘিরে ফেলেন। এক পর্যায়ে হাসপাতাল ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে লাশ নিয়ে টানাটানি হয়। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। স্বজনদের হামলায় হাসপাতালের গ্লাস ভেঙ্গে যায়। হামলা পাল্টা হামলায় হাসপাতালে এক ভর্তি রোগীর মাথা ফেটে আহত হন।
নিহত মোবারক হোসেনের বোন জেসমিন আক্তার ও ভাই আবুল হাসেম জানান, 'আমরা সামান্য হাটুব্যথা নিয়ে আমার ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। ডাক্তার সাফায়েত ইসলাম শাহিন ইনজেকশন দিলে আমার ভাই ঘটনাস্থলেই মারা যান। আমরা ডাক্তার ও হাসপাতালের মালিকের বিচার চাই।'
অন্যদিকে, হাসপাতালের মালিক ডাঃ আবদুল হক জানান, 'ডাক্তার ইচ্ছে করে রোগীকে মেরে ফেলেনি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবো।' কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, 'রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।'
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির