রংপুরে সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া চক্রের মূলহোতা বীনা রানীসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুন্দরী নারীরা সহজ সরল মানুষকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন কায়দায় অর্থ হাতিয়ে নিত। শুক্রবার মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বুধবার প্রতারণার মাধ্যমে নীলফামারীর ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলামকে রংপুর নগরীর নুরপুর করবস্থান এলাকার একটি চারতলা বাড়িতে নিয়ে আসে প্রতারকচক্র। সেখানে তাকে মৃত্যুর ভয় দেখানোসহ মারপিট করে আড়াই লাখ টাকা ও তার বন্ধুর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করে প্রতারখ চক্র। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর ধাপ এলাকা থেকে চক্রের মূল হোতা বীনা রানীকে গ্রেফতার করে।
এছাড়া গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের এক কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই বীনা রানী। প্রতারণার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চক্রের মূলহোতা বীনা রানীর বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী ওই চক্রের বাকি ১০ জনকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নারীদের ব্যবহার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতা বীনা রানীসহ অন্যান্য গ্রেফতারকৃতরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কচি (৩৪), আহসান হাবীব (২৫), শ্রী বিষ্ণু রায় ওরফে আকাশ (১৯), সেকেন্দার রাজা (২৮), শ্যামল ওরফে নুর ইসলাম (৫৫), সোহাগী ওরফে রাজিয়া (৩২), জোনাকি ওরফে তিশা (২১), জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে জান্নাতি (২০), শাহনাজ (৩৫) ও লিজা মনিকে (১৯)। এ সময় তাদের কাছে থাকা ১৩টি মোবাইল ফোন, সহজ-সরল লোকদের ফাঁসিয়ে নেওয়া তিনটি এটিএম কার্ড, নগদ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, বিনার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা ৮৫ হাজার খোয়ান। এ ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। বীনা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করে সহজ-সরল মানুষদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুটি মানবপাচারের মামলাও রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
