৯ মার্চ, ২০২১ ১৪:৫৫

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: এএসআইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: এএসআইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

রংপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় এএসআই রাহেনুলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ৩৬৭ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৃথকভাবে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এবং মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে চার্জসিট দাখিল করে পিবিআই পুলিশ। ঘটনার ৫ মাসের মাথায় এই চাঞ্চল্যকর মামলার চার্জসিট দেয়া হল। এই মামলার একাধিক আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। 

মামলার চার্জসিট সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা এলাকার বাহার কাছনা মাস্টার পাড়ার দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে রংপুর মেট্টোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা করেন ওই ছাত্রীর পিতা। ঘটনার পরপরই মামলায় আসামি এএসআই রাহেনুল ইসলাম, সুমাইয়া পারভীন মেঘলা,  সুরভী আক্তার সমাপ্তি, বাবুল হোসেন এবং আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান ও আসামিদের শনাক্ত করেন। আসামিদের জবানবন্দি ও জব্দকৃত আলামতসহ ডিএনএ পরীক্ষায় গণধর্ষণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।

এএসআই রাহেনুল ইসলাম প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভুক্তভোগীকে গত বছরের ১৮ অক্টোবর বাহার কাছনার সুমাইয়া পারভীন মেঘলার ভাড়া বাসায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে ধর্ষণ করে ছাত্রীকে তার বাড়ির কাছে পৌঁছে দেয়। বাড়িতে ফেরার পর তার মা রাগারাগি করলে ওই স্কুল ছাত্রী রাত দশটার দিকে মেঘলার বাড়িতে চলে যায়। পরে মেঘলা তার বান্ধবী সুরভী আক্তার সমাপ্তি যোগসাজস করে বাবুল ও কালামের সাথে পরেরদিন সকাল এগারোটার দিকে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায়। এই মামলার তদন্ত শুরু করেন রংপুর পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম তদন্ত শেষে এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজু, সুমাইয়া পারভীন মেঘলা এবং আসামি সুরভী আক্তার সমাপ্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে অপরাধ করার প্রাথমিক প্রমাণ পায়। এছাড়াও অপর দুই আসামি আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৪৪ পাতার জুডিশিয়াল নথি ও ৩২৩ পাতার কেস ডকেট প্রস্তুত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাাইব্যুনাল ও মানবপাচার দমন ট্র্যাইবুনালে চার্জশিট দাখিল করেন।

রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করে ধর্ষণের বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছি। চার্জশিট দাখিল করা হলো। 

তিনি আরো বলেন, এই মামলার দুইএকজন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর