জনবল ও বরাদ্দ সংকট নিয়েও স্বাস্থ্যসেবায় জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কয়েকবার শ্রেষ্ঠ খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ৪বছর ধরে এক্সরে মেশিন অচল হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতালে একজনও কনসালটেন্ট নেই। এরপরেও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন কর্মরত চিকিৎসকগণ। স্বাস্থ্যসেবায় জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কয়েকবার শ্রেষ্ঠ হয়েছে এ খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
এদিকে, এক্সরে মেশিন অচলের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকদের দালালদের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। তাই দ্রæত এক্সরে কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছেন দুর্ভোগে পড়া ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০৩ সালে এক্সরে বিভাগ চালু হয়। ওই সময় থেকে প্রতিদিন ইনডোরের অন্তত ৭-৮ জন রোগীর এক্স-রে করা হতো। কিন্তু গত ২০১৭ সাল থেকে এক্সরে মেশিন অচল হওয়ায় প্রায় চার বছর ধরে তা বন্ধ রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই হাসপাতালে সেবা নিতে আগত রোগীরা রোগ নির্ণয়ে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিকে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে।
টাকার অভাবে এক্স-রে করতে না পারা খানসামার ছাতিয়ানগড় গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩০) নামে এক রোগী জানান, বাইরে এক্সরে করতে গেলে ৪-৫শ টাকা প্রয়োজন। যেটি হাসপাতালে করা গেলে অল্প টাকায় করা সম্ভব হত।
হাসপাতালের আরএমও ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল জানান, এক্সরে মেশিন অচল হওয়ায় খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফার) হামিদুর রহমান কাজলকে এখন ফার্মেসিতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মো.মিজানুর রহমান বলেন, নষ্ট এক্সরে মেশিন সংস্কার কিংবা নতুন মেশিনের চাহিদা চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফায় চিঠি দিয়ে অবগত করেছি। দ্রুত এক্সরে মেশিন চালু করতে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন