কুড়িগ্রামের উলিপুরের সাহেবের আলগা ইউনিয়নে এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আর স্ত্রীর উপর ন্যক্কারজনক ঘটনায় বুধবার রাতে গ্রামবাসীদের নিয়ে সালিশ বৈঠকের খবরে নির্যাতিতার স্বামী নুরুল হক (মুন্সি) হার্ট অ্যাটাকে মারা যান বলেও অভিযোগ করা হয়েছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চর গুজিমারী গ্রামে। তবে ধর্ষণ চেষ্টায় বুধবার দুপুরে থানায় একটি মামলা হয়। নির্যাতিতের পরিবার ও এলাকাবাসীরা জানান, গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদে দুর্গম চরাঞ্চলের গুজিমারী গ্রামের ওই বৃদ্ধা গোসল করতে যান। এসময় তাকে একা পেয়ে প্রতিবেশী মৃত মজা শেখের ছেলে চার সন্তানের জনক মনসুর আলী (৬০) জোর করে তাকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা চালায়।
পরে এক পর্যায়ে ওই বৃদ্ধা সেখান থেকে দ্রুত বাড়িতে এসে স্বামীসহ সকলকে ঘটনাটি জানান। এ ঘটনার পর মুনসুর আলী পালিয়ে বেড়াতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় মাতব্বররা সুরাহা করতে বুধবার (৩১ মার্চ) রাতে সমাধানের জন্য সভা ডাকেন।
এদিকে স্ত্রীর উপর এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা মানতে না পেয়ে বৃদ্ধার স্বামী নুরুল হক মুন্সি মানসিকভাবে দুশ্চিন্তিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এ ব্যাপারে মৃত নুরুল হক মুন্সির মেয়ে ফুলজান, ফুলমালা বেগম, পুত্রবধূ নিলুফা ইয়াসমিনসহ কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনার পর থেকে নুরুল হক অনেকটা জনসম্মুখ থেকে দুরে দুরে ছিলেন এবং গ্রাম্য সালিশে বসে মিটিং করতে অপমানবোধ করছিলেন। এরপর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মঙ্গলবার হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।
সাহেবের আলগা ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্ত্রীর কাছে এ ঘটনা শোনার পর থেকে নুরুল হক মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও সালিশ বৈঠকে বসতে চাননি। তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। ঘটনার পর থেকে মনসুর পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, ধর্ষণ চেষ্টায় একটি মামলা বুধবার দুপুরে উলিপুর থানায় হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর