সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সর্বাত্মক লকডাউনে ভাটা পড়েছে। প্রথম দিন কঠোর হলেও দিনে দিনে পাল্টে যায় সে চিত্র। চতুর্থ দিনে উপজেলার হাট-বাজারে বেড়েছে অধিক সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি। মাছ ও কাঁচা বাজারে মানুষের ভিড়।
এখনও উপেক্ষিত সরকারি নির্দেশনা। মাস্ক ব্যবহারেও অনীহা পথচারীদের। সড়কে বেড়েছে সিএনজি, অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিশ্বনাথ পুরাতন বাজার ও নতুন বাজারের মানুষের উপস্থিতি চোখে পরার মতো। উভয় পাড়ে মাছ বাজার ও তরি-তরকারি বাজারে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। লকডাউনের আওতামুক্ত নয়- এমন দোকানও খোলা রয়েছে। এক শাটারের অর্ধেক নামিয়ে ব্যবসা করছেন অনেকেই। কেউ কেউ দোকানের পেছনের দরজা খুলে বিক্রি করছেন বিভিন্ন মালামাল।বাজারে আসা এসব মানুষজন ও ব্যবসায়ীদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। অনেকে মুখে মাস্ক রাখলেও, নেই তা যথাস্থানে। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ। সড়কে মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলতে দেখা গেছে। অনেকটা স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে সবকিছু।
কেবল টহল পুলিশের গাড়ি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম দেখলেই এদিক-সেদিক সটকে পড়েন সাধারণ মানুষ। পুলিশ ও মোবাইল কোর্ট চলে গেলে ফের মাস্ক বিহীন গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে বাজার সদাই করতে দেখা গেছে অনেককে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সরকারি বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে প্রতিদিনই প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জনসাধারণকে আরও সচেতন হবে। না হয় কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর