কুমিল্লার দেবিদ্বারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দেবরের হামলায় নারী নিহত ও ৭ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের ফুলতলী গ্রামের বজলু মেম্বারের বাড়িতে। রবিবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় শতাংশ জমি নিয়ে মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম ও জসীম উদ্দিনের সাথে প্রতিবেশী চাচা মো. বজলু মেম্বারের বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার ওই জমিতে বজলু মেম্বার তার সমর্থকদের নিয়ে নতুন ঘর উঠাতে গেলে তারেকুলের পরিবার বাঁধা দেন। প্রতিপক্ষের হামলায় তারেকুল ইসলাম(৪২), তার মা’ সাহেনা বেগম(৬৫), তারেকুল ইসলাম’র স্ত্রী মোসা. আসমা বেগম(২৫) ও ভাই জসীম উদ্দিনসহ(২৫) ৭জন আহত হন। আহতদের মধ্যে তারেকুল ইসলাম, তার মা সাহেনা বেগম ও স্ত্রী আসমা বেগমকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিকেলে সাহেনা বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান। ওই ঘটনায় শনিবার দুপুরে তারেকুল ইসলাম’র স্ত্রী আসমা বেগম বাদী হয়ে বজলু মেম্বারসহ ৮জনের নামে এবং ২/৩জন অজ্ঞাত দেখিয়ে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরই মধ্যে বজলু মেম্বারের ছেলে মো. হুমায়ুন কবিরকে আটক করে পুলিশ।
নিহতের ছেলে আহত তারেকুল ইসলাম বলেন, আজ যে ভাবে আমার চাচা বজলু মেম্বার তার দলবল নিয়ে মাকে হত্যা করেছেন, তেমনিভাবে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৩৩ বছর পূর্বে দেয়াল চাপায় আমার পিতাকে হত্যা করেছিল। আমি আমার বাবা- মা’য়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। সাহেনা বেগম নামের একজন মারা যান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার