কুড়িগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ধরলা সেতুপাড়ে রাতের অন্ধকারে ফুলবাবু (১৯) নামের এক যুবকের উপর হামলা চালিয়ে গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার গুরুতর আহত ঐ যুবককে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত ওই যুবক উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নেন বালাডোবা গ্রামের মো. পাষান আলীর ছেলে। ধরলা সেতু এলাকার আরিফুর ইসলাম বলেন, আমি নদী রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে আসছিলাম, পাশে দেখি একজন চিৎকার করে বলছে আমাকে বাঁচান। আমি ভয়ে দৌড় দিয়ে সামনে কয়েকজন কে দেখতে পাই, বলি একজনের গলা কেটেছে কে বা কারা। পরে ওই ছেলেগুলো তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত ফুলবাবুর পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটনো হয়েছে। কারণ গত মাসের ১১তারিখ প্রতিবেশীর সাথে দ্বন্দ্ব ও মারামারির ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে উলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আহত যুবকের পরিবার। এ কারণে তারাই পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহত যুবকরে খোঁজখবর রাখছি। সুস্থ্য হয়ে উঠলে এর কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল