তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও উজানের ঢলে আর কয়েক দিনের টানা বর্ষণে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। চরাঞ্চলসহ নিম্ন এলাকার বসবাসরত প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। কোলকোন্দের বিনবিনা চরে স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধটি বিলীন হয়ে গেছে এবং লক্ষীটারীর কেল্লারপাড় চরে স্বেচ্ছাশ্রমের উপবাঁধটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভাঙনে কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা চরের ৬ পরিবারের বসতভিটা তিস্তায় বিলীন হয়ে গেছে। সোমবার গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলীমা বেগম পানিবন্দী মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
লক্ষীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলি, শংকরদহ, বাগেরহাট আশ্রয়ন, পূর্ব ইচলির ১ হাজার, কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা, মটুকপুর, চিলাখাল, খলাইরচরসহ নিম্ন এলাকার ১ হাজার ৫শ, নোহালীর মিনার বাজার, কচুয়াচর, বৈরাতী বাাঁধের ধার, চর নোহালী, বাগডহরা চরের ৫শ, মর্নেয়া ইউনিয়নের মর্নেয়াচর, তালপট্টি, আলাল চর, নরসিং চরের ৫শ, গজঘন্টা ইউনিয়নের কালির চর, ছালাপাক, গাউছিয়া বাজার, জয়দেব, মইশাসুর, রামদেব চরে ৫শসহ আলমবিদিত ও গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের তিস্তা বেষ্টিত নিম্ন এলাকার ৫শ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বাগেরহাট আশ্রয়নের বাসিন্দা রুজিনা ও সজিনা জানান, কয়েকদিন ধরে পানিবন্দী হয়ে অতিকষ্টে আছেন তারা।
লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, তার ইউনিয়নের ১ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ভাঙন অব্যাহত আছে।
কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন দেখা দেওয়ায় বিনবিনা চরে ৬ পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়েছে। তিনি ভাঙন রোধসহ পানিবন্দির জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহের দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম জানান, পানিবন্দী পরিবারের জন্য ইতিমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানের অনুকূলে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সোমবার তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা