সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমা-বাড়ার সাথে সাথে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-ফসলি জমি। নিঃস্ব হয়ে পড়ছে মানুষ।
আর নিঃস্ব এই মানুষগুলো করোনা সংকটের মধ্যে কর্ম না থাকায় মহাসংকটে পড়েছেন। কেউ তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। এসব মানুষ নদীর ধারে ঝুপড়ি তুলে অসহায়ের মধ্যে দিনযাপন করছে।
জানা যায়, গত দেড় সপ্তাহ যাবৎ যমুনা নদীর পানি কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে। কমা-বাড়ার সাথে একদিকে যেমন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহে এনায়েতপুরের আড়কান্দি থেকে পাঁচিল পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা ভাঙনে অর্ধশতাধিক বসতভিটা ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙ্গনরোধে পাউবো বালি জিওব্যাগ ফেললেও কোনো কাজে আসছে না। জিওব্যাগসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। চৌহালী বাঘুটিয়ার বিনানুই চর বিনানুই এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এছাড়াও সদর উপজেলা পাঁচঠাকুরিতেও ভাঙন দেখা দিয়েছে।
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙনের তীব্রতা আরো বাড়ছে। ভাঙনের শিকার মানুষগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। তার ওপর করোনা সংকট। কর্মহীন এসব মানুষগুলো চরম দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।
নদী ভাঙনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই