বগুড়ায় বিড়ি ব্যবসায়িকে ভয় দেখিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের নামে ২৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে এসআই শওকতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ডিবি পুলিশের সাইবার ইউনিটের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এমরান মাহমুদ তুহিনকে বদলি করা হয়েছে। ইন্সপেক্টর এমরান মাহমুদ তুহিনকে বগুড়া থেকে ছাড়পত্র দিয়ে রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) বদলি করা হয়।
বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, চলতি বছরের ২৭ মে বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের মাস্টার বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিককে জাল ব্যান্ডরোল মজুদ আছে বলে ভয় দেখিয়ে প্রথমে ২ কোটি টাকা দাবি করে। পরে ২৫ লাখ টাকায় চাঁদার ঠিক হয় এবং এর মধ্যে ৯ লাখ টাকা সেদিন রাতেই নিয়ে নেয়। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে গত ১৪ জুলাই তিন সদস্যের একটি দল তদন্ত করে সত্যতা প্রমান পায়। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে এসআই শওকতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ডিবি পুলিশের সাইবার ইউনিটের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এমরান মাহমুদ তুহিনকে বদলি করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা পুলিশ বিভাগ সুত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ির কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগের ভিত্তিতে ১৪ জুলাই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরীকে প্রধান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ ও কোর্ট ইন্সপেক্টরকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই দুই পুলিশ সদস্য গত ২৭ মে মাস্টার বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক হেলালকে জাল ব্যান্ডরোল মজুদ আছে বলে ভয় দেখায়। সেখানে পুলিশ সুপারের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান হবে এবং গ্রেফতারও করা হবে বলে ভয় দেখান। এ সময় হেলাল পুলিশ সদস্যদের জানান, ব্যান্ডরোলগুলো বৈধ। এ নিয়ে দুই সদস্য ২ কোটি টাকা দাবি করে।
পরে ২৫ লাখ টাকা মিমাংসা হলে ওই রাতেই ৯ লাখ টাকা এবং বাকি টাকা কিছুদিন পর দেওয়ার কথা বলেন। বাকি টাকার জন্য দুই পুলিশ সদস্য চাপাচাপি করলে হেলাল ১৩ জুলাই বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানান। পুলিশ সুপার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক হেলালকে ডেকে প্রাথমিক শোনার পর অভিযোগ দিতে বলেন। অভিযোগের পর ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় হেলালকে ৯ লাখ টাকা ফেরত দেন ইন্সপেক্টর তুহিন ও এসআই শওকত।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন