৫ আগস্ট, ২০২১ ২১:২৫

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে দেখা মিলছে না রুপালি ইলিশের

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে দেখা মিলছে না রুপালি ইলিশের

কারও জালেই বড় ইলিশ ধরা পরেনি

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে দেখা মিলছে না রুপালি ইলিশ। দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পর অনেক আশা নিয়ে গভীর সমুদ্রে যান জেলেরা। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত ইলিশের দেখা পাননি। সাগর চষে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রলার শূন্য হাতে ঘাটে ফিরে এসেছে। জালে বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়বে জেলেদের স্বপ্ন ছিল। কারও জালেই বড় ইলিশ ধরা পরেনি। তবে পেয়েছেন অল্প পরিমাণ ছোট সাইজের ইলিশ। এতে বাজার খরচ ওঠেনি কারও। তারপরও লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ফের সমুদ্রে যাচ্ছে ফিরে আসা ট্রলারগুলো।

স্থানীয় জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় গত ২৩ জুলাই। ২৪ জুলাই জেলেদের সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে যেতে পারেননি। এরপর তারা গত ২৭-২৮ জুলাই একযোগে ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যান। কিন্তু এখন পর্যন্ত  সাগরে ইলিশের তেমন সন্ধান পাননি।

এদিকে পোনে ৭ দিন সমুদ্রে চষে ইঞ্জিনের ত্রুটি নিয়ে বুধবার দুপুরে ঘাটে ফিরেছে এফবি জিহাদ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার। ১৬ কেজি ইলিশ, ৪টি গোলপাতাসহ সামান্য কিছু টোনাফিস নিয়ে ঘাটে ফিরে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করেছে।

দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুর আড়ত পট্টিতে কথা হয় ট্রলারের মাঝি আব্দুল জলিলের। চোখেমুখে হতাশার ছাপ নিয়ে তিনি বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বড় আশা নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরে এসে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এতে ট্রলারের ১৮ জন জেলের পরিবার কেমনে চলে।

অপর এক ট্রলারের মিস্ত্রি ছগির হোসেন গাজী বলেন, তারা দেড় লাখ টাকার বাজারের চাহিদা নিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে যান। তারা তীরে এসে মাছ বিক্রি করেছেন ৫৫ হাজার টাকার। জালে ইলিশ ধরা পরবে এমন আশা নিয়ে এই লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে আবার সমুদ্রে যাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

ট্রলার মালিক মো. আল-আমিন হাওলাদার বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ট্রলার বিক্রি করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান বলেন, আড়ত পট্টির আড়তদাররা অনেক ধরাদেনা করে বর্তমানে ব্যবসা টিকিয়ে রাখছেন। এখন সাগরে জেলেদের জালে মাছ না মিললে পালিয়ে এলাকা ছাড়তে হবে।

আলীপুর মৎস্য আড়ত সমবায় সমিতির সভাপতি মো. অনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, আড়তদাররা অনেক ধার-দেনায় জর্জড়িত হয়ে গেছে। তবে সাগরে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পরলেই আড়তদারদের সমস্যা দূর হবে। আর এ মৎস্য বন্দরে ফিরে আসবে প্রাণচাঞ্চল্যতা। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 


 
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর