রংপুরের বদরগঞ্জে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া মাদক মামলার আসামি ওসমান গনিকে ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পর গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া এলাকায় একটি জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার পর থেকে সে জঙ্গল ও যমুনেশ্বরী নদীর চরে আত্মগোপন করে ছিল। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ মাদক সেবন ও কেনাবেচার মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে এসআই আবুল কালাম ও কনস্টেবল আলমগীর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে, রবিবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিতে নেয়া হলে সেখান থেকে পালিয়ে যান ওসমান গণি। সে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের মোস্তফাপুর বারোবিঘা গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে লোহানীপাড়া ইউনিয়নের কাঁচাবাড়ি এলাকা থেকে মাদকসহ আটক করা হয় ওসমান গণিকে। আটকের পর থেকে সে অসুস্থতার ভান করলে পুলিশ রবিবার সকালে হাতকড়া পরা অবস্থায় তাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় । টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় সে।
সোমবার দুপুরের দিকে ওসমান গণি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক প্রামাণিককে ফোন করে বলেন পুলিশের হাতকড়া নিয়ে পালানোয় সে ভুল করেছে। এজন্য চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চান। পরে চেয়ারম্যান কৌশলে তার অবস্থান জেনে নিয়ে তার দেওয়া ঠিকানা মতে একই ইউনিয়নের শেখপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ
তাকে গ্রেফতার করেন।
দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক বলেন, দুপুরের দিকে ওসমান গণি আমার মোবাইলে ফোন দেয়। সে জানায় পুলিশের কাছ থেকে পালানোয় তার বড় ভুল হয়েছে। এজন্য তিনি আমার কাছে ক্ষমা চান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, ওসমান গণিকে গ্রেফতারে সর্বত্র সাড়াশি অভিযান চালানো হয়। উপায় না পেয়ে সে পুলিশের হাতে ধরা দিতে বাধ্য হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকের মামলা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত